সালেহ্ বিপ্লব: [২] মূলত ভারতীয় ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে নেপাল থেকে এই বিদ্যুৎ আনার বিষয়ে ইতোমধ্যেই নীতিগতভাবে সমঝোতা হয়েছে। চুক্তি সম্পন্ন হলে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে ট্রানজিট করে বাংলাদেশে ঢুকবে। সূত্র: ইকনোমিক টাইমস

[৩] নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির (এনইএ) মুখপাত্র সুরেশ ভট্টরাই জানিয়েছেন, নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করার জন্য তিনটি দেশের মধ্যে ইতোমধ্যেই মৌখিক বোঝাপড়া সম্পন্ন হয়েছে। খুব শিগগিরই এই বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি হবে।

[৪] এনইএ’র সিনিয়র কর্মকর্তা প্রবাল অধিকারী বলেছেন, নেপাল এবং বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই পাওয়ার পারচেজ ডকুমেন্টে সম্মত হয়েছে। কিন্তু উভয় দেশের মধ্যে শুল্ক এবং বাণিজ্য মার্জিন এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

[৫] তিনি আরও বলেন, যদিও এই তিনটি দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি এখনও স্বাক্ষরিত হয়নি, তারপরও পিপিএ এবং অন্যান্য শর্তাবলীর বিষয়ে ইমেইলের মাধ্যমে সম্মত হয়েছে তিন দেশ।

[৬] চুক্তি সংক্রান্ত ঝুলে থাকা কিছু বিষয় শিগগিরই চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদে নেপাল থেকে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার পরিকল্পনাও করছে বাংলাদেশ।

[৭] কর্মকর্তারা বলছেন, নেপাল থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের সরবরাহ হয়তো পরিমাণের দিক দিয়ে খুব বেশি নয়, তবে এটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এর প্রতীকী গুরুত্ব রয়েছে।

[৮] ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট গণেশ কারকি বলছেন, তৃতীয় কোনও দেশে নেপালের বিদ্যুৎ রপ্তানি করার সম্ভাব্য এই চুক্তিটি তাৎপর্যপূর্ণ।

[৯] চলতি বছরের মে মাসে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা সংক্রান্ত সচিব-পর্যায়ের জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির পঞ্চম বৈঠকে উভয় পক্ষ ভারতকে সঙ্গে রেখে বিদ্যুৎ বাণিজ্য শুরু করতে সম্মত হয়। সম্পাদনা: ইকবাল খান